বহু কারণেই অনেকের সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় বা সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এর পিছনে থাকতে পারে বয়স বেড়ে যাওয়া, অসুস্থতা, প্রজনন অঙ্গের সমস্যা, জীবনাপনের সমস্যার মতো কারণ। এই সব ক্ষেত্রেই আশার আলো দেখাতে পারে IVF চিকিৎসা পদ্ধতি।
কিন্তু সকলেই কি এই IVF চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন? কী বলছেন চিকিৎসকরা? সম্প্রতি এইচটি লাইফস্টাইল-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে IVF বিশেষজ্ঞ প্রীতি গুপ্ত জানিয়েছেন, কারা এই পদ্ধতির সাহায্য বাবা-মা হওয়ার রাস্তা বেছে নিতে পারেন। দেখে নেওয়া যাক, কী বলছেন তিনি।
পুরুষের বন্ধ্যত্বের ক্ষেত্রে: যাদের স্পার্ম কাউন্ট কম কিংবা কোনো সমস্যার কারণে স্পার্ম সন্তান উৎপাদন করতে সম্ভব হচ্ছে না, তাদের ক্ষেত্রে এটি একটি সহজ রাস্তা হতে পারে।
পুরুষ বা নারীর কারও জিনগত সমস্যা থাকলে: অনেক ক্ষেত্রে পুরুষ বা নারীর কারও পরিবারে জিনগত সমস্যা থাকে। বা তাদের নিজেদেরও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে অনেক নারী-পুরুষই ভয় পান, তারা যদি সন্তানের জন্ম দেন, সেক্ষেত্রে সন্তানেরও এই সমস্যা হতে পারে। কিন্তু IVF এই সমস্যার আশঙ্কাই কমিয়ে দেয়। Preimplantation genetic screening (PGS) আগে থেকেই বলে দিতে পারে ক্রোমোজোমের কোনো অস্বাভাবিকত্ব আছে কি না। এবং IVF-এর মাধ্যমে সুস্থ ক্রোমোজোম বেছে নেওয়া যায়।
কেন সন্তান হচ্ছে না বোঝা যাচ্ছে না: অনেকের ক্ষেত্রেই এমন হয়। কোনও অস্বাভাবিকত্ব নেই, তবু সন্তান হয় না। তারাও এই পদ্ধতির সাহায্য নিতে পারেন।
বয়স বেড়ে যাচ্ছে: অনেক সময়ে বহু নারী বা পুরুষের বয়স বেড়ে যাওয়ার ফলে তারা সন্তান ধারণ নিয়ে সমস্যা পড়েন বা সমস্যায় পড়তে পারেন বলে ভাবেন। তারাও IVF-এর সাহায্য নিতে পারেন।
মহিলাদের ফেলোপিান টিউবের সমস্যায়: এই সমস্যা থাকলে বহু নারী মা হতে পারেন না। তাঁরাও সহজেই IVF-এর সাহায্য নিতে পারেন। সুফল পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে।
ফার্টিলিটি ডিঅর্ডার থাকলে: অনেক মহিলার এই সমস্যা থাকে। তারাও IVF-এর মাধ্যমে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন।
অন্যান্য সমস্যা: কোনও মহিলার ক্ষেত্রে ডিমের সংখ্যা কম বা ওভারির সমস্যা থাকতে পারে। কারও কারও Intra Uterine Insemination বা IUI-র কারণেও সন্তান ধারণে সমস্যা হয়। তারাও এই পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন।
হালে বহু দম্পতিরই সন্তান ধারণে সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে এই IVF চিকিৎসা পদ্ধতি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো এটির সাহায্য নিতে পারেন অনেকেই। তাতে আশা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে।